রাণী পতিত পাবনী মাধ্যমিক বিদ্যালয় প্রতিষ্ঠার ইতিহাস

স্বচ্ছ-সলিলা, মন্দবহা নবগঙ্গা বিধৌত মাগুরা জেলার অন্তর্গত, মহম্মদপুর উপজেলাধীন নহাটা যেটি সামাজিক- সাংস্কৃতিক ও রাজনীতির এক উর্বর ক্ষেত্র। এটি একটি প্রত্যন্ত জনপদ, যার পাশেই সুবিশাল ইছামতি বিল, অদূরেই স্রোতস্বিনী প্রমত্তা মধুমতি নদী। এই তিনের সন্নিকটে বক্ষবেষ্টিত হয়ে গড়ে উঠেছে নহাটা। প্রায় শতবর্ষ আগে (১৯২৪) এই প্রত্যন্ত গ্রামীণ জনপদে জন্ম নিয়েছিল ছোট্ট শিক্ষা শিশু। নাম তার ” নহাটা রাণী পতিত পাবনী মাধমিক বিদ্যালয়”। বিদ্যালয়টি শৈশব, কৈশোর, যৌবন পেরিয়ে সে এখন প্রবীণ, প্রাচীনতম বিদ্যাপীঠ। মাধ্যমিক শিক্ষাস্তরের একটি উজ্জ্বল বাতিঘর। ফুলে পল্লবে প্রস্ফুটিত, ইতিহাসাশ্রয়ী কিংবদন্তী। শতবর্ষ প্রাচীন বিদ্যালয়টি এই অঞ্চলের সুবিধাবঞ্চিত আপামর কৃষক ঘরের সন্তান সন্ততির সুশিক্ষা লাভের দায়িত্ব মাথায় নিয়ে আজও গর্বের সাথে দাঁড়িয়ে আছে। প্রায় শত বছর ধরে কত সুখ, দুঃখ, রোদেলা উৎসব পেরিয়ে সে আজ স্ব-মহিমায় সমুন্নত, সমুজ্জ্বল। হাজারও সন্তানের সে রত্নগর্ভা জননী। যে সন্তানেরা দেশে বিদেশে জ্ঞানের আলোক শিখা প্রজ্জ্বলিত করে কৃতিত্বের স্বাক্ষর রেখে চলেছেন। এ অঞ্চলের বিদ্যানুরাগী, বিদ্যোৎসাহী মহৎ প্রাণের সম্মিলিত প্রচেষ্টায় এই স্বনামধন্য ঐতিহাসিক বিদ্যালয় প্রতিষ্ঠিত হয়েছে তা অনস্বীকার্য। তাদের হৃদয় ও মনের বুভুক্ষ শিক্ষা চেতনার বহি:প্রকাশই আমাদের প্রজন্মান্তরে উচ্চ শিক্ষার পথকে সুগম করে চলছে।

বিদ্যালয় প্রতিষ্ঠার ঐতিহাসিক পটভূমিঃ
===========================
নহাটার বারুইপাড়ার অধিবাসী ছিলেন শরৎচন্দ্র ভট্টাচার্য, যিনি পার্শ্ববতী নড়াইল জেলার লোহাগড়াস্থ নলদী হাইস্কুলের সহকারী শিক্ষক পদে কর্মজীবনে প্রবেশ করেন। ১৬ কিলোমিটারের দূর্গম পথে পদব্রজে বিপীরত জলপথে লঞ্চ-স্টিমার ছিল যাতায়াতের অন্যতম ব্যবস্থা। এমতাবস্থায় সময় নিরপেক্ষ উপস্থিতি একান্তই অসম্ভব ছিল শরৎবাবুর। অনাকাঙ্খিত বিলম্বাপরাধে হেড মাষ্টারের বড্ড ত্রিশুলভেদী খচ্চরী দৃষ্টিতে পড়েন তিনি। অকস্মাত বিলম্ব তীল তালস্থে শরৎবাবু পেলেন কারণ দর্শানোর নোটিশ। যে অন্তর্দহনে পুনরাগমনে তার আত্মবিত শ্রদ্ধাববোধ জাগ্রত জগতপ্রাশাদে কুলকাঠাগ্নী ঘটে, যে দাহে তার লালিত বিদ্যাপীঠে পুনর্যাত্রা চিরব্যাহত হয়। তৎকালে স্বমহীমায় নলডাঙ্গার রাজা প্রমথ ভূষণ দেব রায় বাহাদুর এর রাজত্ব চলমান। নহাটা অঞ্চল ছিল রাজা দেব রায় বাহাদুর এর শাসন কাযের্র আঞ্চলিক কেন্দ্র বা সাবস্টেট। শরৎচন্দ্র ভট্টাচাযের্র অগাধ পান্ডিত্যের গুণে তিনি রাজবাড়িতে পুরোহিত হিসেবে নিয়োজিত ছিলেন এবং সর্বগুনের সৌরভ ছড়িয়ে রাজ পরিবারে তাঁর ঘনিষ্ঠতা ছিল গভীরতর। রাজ পরিবারের বিভিন্ন কর্মে তার পরামর্শ যেনো দেবাদেশ। যদিও রাজা বাহাদুর এর সময় কালে এ অঞ্চলে আঞ্চলিক বিদ্যোৎসাহীদের ঐকান্তিক প্রচেষ্টায় প্রজার বিদ্যার্জনের নিমিত্যে ‘গুরু গৃহ’(পাঠশালা) কার্যক্রম প্রবাহমান ছিলো। এবং তাঁর গুরু পরিবর্তনাক্ষে শরৎবাবু রাজা বাহাদুরের মগজে একটি স্বতন্ত্র বিদ্যালয় স্থাপনের একাগ্রতার অভিব্যক্তি প্রকাশ করেন। শরৎবাবুর বাক্যের প্রতি রাজার দূর্বলতা পূর্বেই বিদ্যমান ছিলো। স্ব বিদ্যাদানের দুর্বলতা ও শরৎ বাবুর পরামর্শ হেতু রাজা বাহাদুর বিদ্যালয় স্থাপনের স্বপক্ষ সমর্থন করেন, শর্ত সাপেক্ষে। বিদ্যালয়ের পৃষ্ঠপোষকদের মধ্যে রাজা ছিলেন অন্যতম প্রধান ব্যক্তিত্ব । ফলে বিদ্যালয় স্থাপনের অবদানের ভূমিকার ক্ষেত্রে শর্ত অতি স্বাভাবিকই ছিল রাণী ভক্ত রাজার নিকট।

হ্যাঁ, বিদ্যালয়ের নামকরণ রাণীমা‘র নামানুসারে হতে হবে। রাজাদেশ অনুযায়ী অত্যন্ত মনোরম এবং নিরিবিলি পরিবেশে শেরশাহ নির্মিত ঐতিহ্যবাহী গ্রাণ্ডট্রাঙ্ক রোডের পাশে প্রায় ৩.৪৫ একর জমির উপর ‘রানী পতিত পাবনী’ নাম ধারণ করে আত্ম প্রকাশ ঘটে এক বিদ্যাস্বর্গালোকের। স্কুল অবকাঠামোর প্রাথমিক যাত্রায় হোক না কাঠ বাঁশের। বিদ্যালয় স্থাপন এবং পরিচালনার অর্থ জোগাড়ের জন্য আশপাশের গ্রামের বিদ্যেৎসাহীদের সহযোগিতায় অর্থ-বিত্তশালীদের দ্বারস্থ হন শরৎবাবু। ১৯২৪ সালে বাঁশ-কাঠ ও গোল পাতার নির্মিত ঘরে বর্তমানের স্থানেই ছায়া ঘেরা মমতাময়ী বাংলা মায়ের আঁচল তলে অষ্টম শ্রেণীর অনুমোদনাদেশে মাত্র তিনজন ছাত্র, পাঁচ জন সহকারী শিক্ষক এবং প্রধান শিক্ষকের পদপ্রাপ্ত হন ঐ সুপন্ডিত ব্যক্তিত্ব শরৎবাবু। পরবর্তীতে মাত্র দু’বছরান্তেই বিদ্যালয়টি ১০ম শ্রেণী পর্যন্ত পাঠাদেশ লাভ করে ১৯২৬ সালে। ১৯২৮ সালেই তদানিন্তন কোলকাতা শিক্ষাবোর্ডাধীন এনট্রান্স (প্রবেশিকা) অর্থাৎ বর্তমানের মাধ্যমিক পরীক্ষায় অংশগ্রহনের এক অভূতপুর্ব সুযোগ লাভ করে। প্রথম বছর (১৯২৮সালে) দু’জন ছাত্র প্রবেশিকা পরীক্ষায় অংশ গ্রহণের মহাগৌরব অর্জন করেন। তন্মধ্যে পাশ্ববর্তী বাটাজোড় গ্রামের শ্রী অনন্ত কুমার চক্রবর্তী নামের একজন শিক্ষার্থী কৃতিত্বের সাথে এন্ট্রান্স পরীক্ষায় উর্ত্তীর্ণ হন। যিনি পরবর্তীতে ১৯৩২ সালে অত্র বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক হিসেবে দায়িত্বপ্রাপ্ত হন।

নাটকীয় ট্রাজেডি
============
১৯২৪ থেকে ১৯২৮ সাল পর্যন্ত নহাটা অঞ্চলের মাধ্যমিক বিদ্যাপীঠের প্রাণপুরুষ শরৎচন্দ্র ভট্টাচার্য মনে মগজে যার আঞ্চলিক বিদ্যার উৎকর্ষ সাধন, তিনিই প্রধান শিক্ষক হিসেবে তাঁর দায়িত্ব স্বগর্বে পালন করেন। তৎকালে বিদ্যালয় পরিচালনা পর্ষদের কার্যকারীতায় বিধি মোতাবেক দন্ডাদেশ সমাদেশ আবির্ভূত হয়। ‘বগলাজিৎ সেনগুপ্ত’ (ডাবল এম এ কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়) যিনি সুদূর কলকাতা হতে বিদ্যালয় পরিচালনা পর্ষদের সেক্রেটারী প্রেরিত প্রধান শিক্ষক নিযুক্ত হয়ে যোগদান পত্র সমেত স্টিমার যোগে নহাটায় আগমন করেন। নবগঙ্গার ঘাট হতে স্বগর্বে নিয়োগাদেশ হস্তে উপস্থিত হন শরৎচন্দ্র ভট্রাচার্যের সম্মুখপানে। যে মহৎপ্রাণ, মহানুভব ব্যক্তির অক্লান্ত পরিশ্রম ও তৎপরতায় বিদ্যালয়টি প্রতিষ্ঠিত হয়ে শতকুঁড়ি ফুল হয়ে ফুটতে শরু করে, ঠিক তখনই শরৎ বাবুর ভাগ্যের বলিরেখা সংকুচিত হয়ে অন্ধকারের ঘোর অমানিশা নেমে আসে। রাণী পতিত পাবনী মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের সেক্রেটারী প্রেরিত প্রধান শিক্ষককে স্ব-সম্মানে স্বপদাবস্থান সমার্পন পূর্বক স্বজলে স্বহস্তনির্মিত বিদ্যালয় ত্যাগ করেন শরৎবাবু। আত্ম ললাট লিপী সহন করার দহনের দাহে আর কোনদিন নিজ নির্মিত বিদ্যালয়ে পূনরাগমন না ঘটলেও সে দহনে তিনি মানসিক ভারসাম্য হারিয়ে ফেলেন। পরবর্তিতে জীবন ও জীবিকার দায়ে মাগুরার কোন একটি বিদ্যালয়ে পুনঃ জ্ঞান প্রজ্জ্বলনের চেষ্টা করেন তিনি। মৃত্যু সায়নে তাঁর ইচ্ছানুসারে নিজ হাতে নির্মিত বিদ্যালয়ের নলকূপের জল পান করানো হয় এবং সাত সাগরের জলেই তিনি তৃষ্ণা নিবারণ করেন। চিরতরে নিভে যায় বিদ্যালোকবর্তীকার জীবন প্রদ্বীপ।

শুরু থেকে অদ্যাবধি যে সকল পন্ডিত ব্যক্তি নহাটা রাণী পতিত পাবনী ম্যধ্যমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষকের পদ অলংকৃত করেছেন তাঁরা হলেন
========================
১. শরৎচন্দ্র ভট্টাচার্য (বি.এ) – ১৯২৪–১৯২৮
২. বগলাজিৎ সেনগুপ্ত (ডাবল এম.এ) – ১৯২৮–১৯৩০
৩. রাশেন্দু বিকাশ অধিকারী (এম.এ) – ১৯৩০–১৯৩২
৪. অনন্ত কুমার চক্রবর্তী (বি.এ, বি.টি) – ১৯৩২–১৯৪৪
৫. যতীন্দ্রনাথ চক্রবর্তী (বি.এ, বি.টি) – ১৯৪৪–১৯৪৮
৬. পঞ্চানন চক্রবর্তী (বি.এ) – ১৯৪৮–১৯৫২
৭. পতি ভট্টাচার্য (বি.এ) – ১৯৫২–১৯৫৩
৮. মোঃ জাকির হোসেন (বি.এ) – ১৯৫৩–১৯৫৪
৯. খোঃ মোঃ রাশেদ আলী (বি.এ) – ১৯৫৪–১৯৫৫
১০. মোঃ মোশাররফ হোসেন (বি.এ) – ১৯৫৫–১৯৫৬
১১. খোঃ মোঃ জয়নাল আবেদীন (বি.কম) – ১৯৫৫–১৯৬২
১২. মোঃ আলতাফ হোসেন মোল্যা (বি.এ, বি.এড) – ১৯৬২–১৯৯৯
১৩. মোঃ তফছির আহমেদ (বি.এ, বি.এড) – ১৯৯৯–২০০৬
১৪. শ্রী অমর কুমার চক্রবর্তী (ভারপ্রাপ্ত, বি.এ, বি.এড) – ২০০৬–২০০৭
১৫. মিঃ দুর্গা পদ দাশ (ভারপ্রাপ্ত, বি.এসসি, বি.এড) – ২০০৭–২০০৮
১৬. মোঃ মতিয়ার রহমান (বি.এ, বি.এড) – ২০০৮–২০১৬
১৭. মোঃ আনিছুর রহমান (ভারপ্রাপ্ত, বি.এসসি, বি.এড) – ২০১৬–২০১৭
১৮. মোসাঃ কওছার আজাদী পারভীন (ভারপ্রাপ্ত, বি.এ, বি.এড) – ২০১৭
১৯. নূ.হা.ম. হাদিউজ্জামান (বি.এসসি, বি.এড, এম.এ) – ২০১৭ থেকে বর্তমান।

বিদ্যালয়ের গৌরবোজ্জল অধ্যায়
=======================
গৌরব, ঐতিহ্য ও সাফল্যের ধারাবাহিকতায় যে বিদ্যালয়টি মাত্র তিন জন ছাত্র এবং ছয় জন শিক্ষকের সমন্বয়ে যাত্রা শুরু করেছিল তা আজ (বিজ্ঞান, মানবিক, বানিজ্য ও ভোকেশনাল) ৭৫০ +_ জন ছাত্র/ছাত্রী এবং ২৭ জন শিক্ষক কর্মচারীসহ ফুলে পল্লবে প্রস্ফুটিত হয়ে জ্ঞানের প্রদ্বীপ শিখা প্রজ্জ্বলিত করে চলছে অবিরাম। সাফল্যের ধারাবাহিকতায় বিদ্যালয়টি ০১ জানুয়ারি, ১৯৮০ সালে এম.পি.ও ভুক্ত হওয়ার মহাগৌরব অর্জন করে। যাতায়াত ব্যবস্থার সহজগম্যতা, গুরুজনদের কঠোর অনুশাসন, আকর্ষণীয় পাঠদান পদ্ধতির প্রতি আকৃষ্ট হয়ে দূর-দূরান্ত থেকে ব্যাপকভিত্তিক আগমন ঘটে ছাত্র/ছাত্রীদের। সবচেয়ে দীর্ঘ সময় ব্যাপি দায়িত্ব পালন করা প্রধান শিক্ষক জনাব মোঃ আলতাফ হোসেন মোল্যার ঐকান্তি প্রচেষ্টা এবং অত্র বিদ্যালয়ের ১৯৬৬ ব্যাচের ছাত্র জনাব মোঃ সাইফুল ইসমালের আন্তরিক সহযোগীতায় (বর্তমানে অবসরপ্রাপ্ত যুগ্মসচিব) ১৯৮৫ সালে বিদ্যালয়ে প্রথম এস.এস.সি পরীক্ষার কেন্দ্র স্থাপিত হয়। যে কেন্দ্রে প্রতিবছর মহম্মদপুরসহ আশপাশের চারটি উপজেলার প্রায় সহস্রাধিক পরীক্ষার্থী এস.এস.সি পরীক্ষাদানের সুযোগ লাভ করে। বিদ্যালয়টিতে রয়েছে সুবিশাল খেলার মাঠ,পর্যাপ্ত শ্রেণী কক্ষ, বৃহৎ পুকুর সহ অন্যান্য আধুনিক সুযোগ সুবিধা। মূল লেখা পড়ার পাশাপাশি এখানকার ছাত্র/ছাত্রীরা খেলাধুলা ও অন্যান্য সহশিক্ষা কার্যক্রমে অংশগ্রহনের মাধ্যমে বিদ্যালয়ের সুনাম ধরে রাখতে সক্ষম হয়েছে। অত্র বিদ্যালয়ের বিদ্যাস্পর্শে বহু জ্ঞানীগুণী বিজ্ঞানী, চিকিৎসক, আইনজীবি, সরকারি বেসরকারি চাকরিজীবি,খেলোয়াড়, শিল্পী, তুখোড় রাজনীতিবীদ, আইন প্রণেতা/জাতীয় সংসদ সদস্য, মন্ত্রী, শিক্ষাবীদ, পদস্থ সেনা, নৌ ও বিমান বাহিনীর কর্মকর্তা, গুরুজন, ব্যবসায়ী, শিল্পপতিদের জন্ম হয়েছে যাদের অর্জিত বিদ্যার স্রোতধারা প্রবাহিত হয়ে দেশ তথা আন্তর্জাতিক অঙ্গনের মহাসমুদ্রে মিলিত হয়েছে।

▫️লেখক
মোঃ শাহজাহান মিয়া

▫️তথ্যদাতাগণ
শ্রদ্ধেয়,
জনাব আলতাফ হোসেন মোল্যা
জনাব কার্ত্তিক ভট্টাচার্য
জনাব অমর কুৃমার চক্রবর্ত্তী
জনাব আঃ সালাম মোল্যা
জনাব দূর্গাপদ দাস
জনাব মোঃ মতিয়ার রহমান
জনাব নূ.হা.ম.হাদিউজ্জামান

▫️শব্দ চয়নীয় সহযোগীতায়
গঙ্গারামপুর পি.কে মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের স্মরণিকা গ্রন্থ

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *